দেশ ও দেশের মানুষের কল্যাণের স্বার্থে মুক্তিযুদ্ধের আদর্শিক চেতনা বাস্তবায়নে অগ্রণী ভুমিকা পালন করে যাচ্ছেন নুর মোহাম্মদ


সৈয়দ মুরছালিন দারাশিকো
বাংলাদেশের সরকারী কর্মকর্তাদের ইতিহাসে এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত সাবেক আইজিপি, রাষ্ট্রদূত ও সচিব নূর মোহাম্মদ। ব্যক্তিগত, পারিবারিক, সামাজিক ও পেশাগত জীবনে অনন্য এক নাম। তিনি তাঁর কর্মজীবনে সততা, নিষ্ঠা, কর্মদতা ও মেধার স্বার রেখেছেন প্রতিটি েেত্র। দেশ ও দেশের মানুষের কল্যাণের স্বার্থে মুক্তিযুদ্ধের আদর্শিক চেতনা বাস্তবায়নে তিনি অগ্রণী ভুমিকা পালন করে যাচ্ছেন।
জাতির এই সাহসী সন্তান ১৯৫৬ সালের নভেম্বর মাসে কিশোরগঞ্জ জেলার কটিয়াদী উপজেলার চান্দপুর মিরেরপাড়া গ্রামে সম্ভ্রান্ত এক মুসলিম পরিবারে জন্ম গ্রহণ করেন। তিনি ১৯৭১ সালে স্থানীয় চাতল বাঘহাটা হাইস্কুল থেকে মাধ্যমিক এবং ১৯৭৩ সালে কটিয়াদি কলেজ থেকে কৃতিত্বের সাথে উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করেন। নূর মোহাম্মদ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৭৯ সালে অনার্স এবং ১৯৮১ সালে মেধার স্বার রেখে মাস্টার্স সম্পন্ন করেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র অবস্থায় মানবিক গুনের অধিকারী এই মেধাবীর নেতৃত্বের বিকাশ ঘটে। তিনি ১৯৮০ সালে বিপুল ভোটে ছাত্রলীগ (জাসদ) থেকে মুহসিন হলের ভিপি নির্বাচিত হন।
নূর মোহাম্মদ ১৯৮২ সালে বিসিএস-এ মেধা তালিকায় উর্ওীণ হয়ে পুলিশের এএসপি হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেন। সুদর্শন এই ব্যক্তিত্ব ১৯৮৩ সালে ইসমত বেগমের সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। তিনি দুই মেয়ে ও এক ছেলের জনক। বড় মেয়ে আইওএম’এ কর্মরত, ছোট মেয়ে নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যায়নরত আর একমাত্র ছেলে বার এট “ল ’ করে কর্পোরেট জগতে কাজ করছেন। বর্ণাঢ্য কর্মজীবনের অধিকারী নূর মোহাম্মদ দীর্ঘ ২৭ বছর ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে পুলিশে চাকরি করেছেন। মানব সেবার যে ব্রত নিয়ে পুলিশে এসেছিলেন তার প্রতিফলন ঘটে কর্মজীবনের শুরুতেই কুড়িগ্রামে। স্থানীয় জনগণের কাছে তিনি হয়ে উঠেন আস্থা ও ভরসার প্রতীক হিসেবে। কুড়ি গ্রাম থেকে যখন তাঁকে বদলি করা হলো হাজার হাজার সাধারণ জনতা রাস্তায় নেমে আসে, মিছিল করে তাঁর বদলি ঠেকানোর জন্যে। যা বাংলাদেশের ইতিহাসে সরকারি কর্মকর্তার জন্যে প্রথম কোন ঘটনা। তিনি সব সময় বলেন এবং বিশ্বাস করেন ভালোবাসা ভালোবাসার জন্ম দেয়। তাঁর অসামান্য সততা, মেধা, কর্মদতা আর নেতৃত্বের গুণাবলী দেখিয়ে বাংলাদেশের ইতিহাসে সবচেয়ে কম বয়সে মাত্র ৫১ বছরে আইজিপি পদে আসিন হন। ২০০৭ থেকে ২০১০ সাল পর্যন্ত প্রায় ৪ বছর পুলিশ প্রধান হিসেবে অত্যন্ত সুনামের সাথে কাজ করেছেন দেশ প্রেমিক নূর মোহাম্মদ। স্বাধীনচেতা দূরদর্শী এই মেধাবী ২০০৮ সালে ব্রিটিশদের করা ১৮৬১ সালের পুলিশ আইনকে সংস্কার করে বাংলাদেশ পুলিশকে একটি আধুনিক চৌকস সু-শৃঙ্খল বাহিনী হিসেবে গড়ে তোলার পদপে নেন। প্রথমে ৪ টি থানাকে মডেল থানা ঘোষণা করে দেশে মডেল থানার গোঁড়াপওন করেন বুদ্ধিদীপ্ত এই কর্মকর্তা। ৪ টি থানার মধ্যে তাঁর জন্মস্থান কটিয়াদিকে মডেল থানা করেন এবং অবকাঠামো উন্নয়ন করেন। এছাড়া ভাট্টা হাওরে গড়ে তোলেন অত্যাধুনিক এক পুলিশ তদন্ত কেন্দ্র। দেশের জঙ্গিবাদ,সন্ত্রাস কঠোর হস্তে দমন করে ২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বরে অনুষ্ঠিত জাতীয় নির্বাচনকে অবাধ-সুষ্ঠু করতে অগ্রনী ভুমিকা পালন করেন মা- মাটির গর্বিত এই সন্তান। নূর মোহাম্মদ ২০১১ সাল থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত রাষ্ট্রদূত ও সচিব পদে অত্যন্ত নিষ্ঠার সাথে দায়িত্ব পালন করেন এবং সুনামের সাথে অবসর গ্রহণ করেন। দেশবরেণ্য সফল এই ব্যক্তিত্ব যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রনালয়ের দায়িত্ব পালনকালে তাঁর কর্মদতা আর আন্তরিকতায় মন্ত্রনালয়ের কাজে আসে গতি। তিনি সচিব থাকাকালীন কটিয়াদী-পাকুন্দিয়ার বিভিন্ন স্কুল-কলেজের মাঠ সংস্কার এবং কারিগরি শিা প্রতিষ্ঠানের উন্নয়নেও ব্যাপক ভুমিকা রাখেন। এছাড়া কটিয়াদি, মানিকখালীতে গড়ে তুলেন যুব উন্নয়ন প্রশিণ কেন্দ্র। যেখান থেকে প্রতিমাসে শত শত বেকার যুবক/যুবতিরা বিভিন্ন বিষয়ে প্রশিণ নিয়ে দেশে-বিদেশে বিভিন্ন শিল্প কলখারকানায় দতার সাথে কাজ করছেন। অবহেলিত কটিয়াদী-পাকুন্দিয়ার সার্বিক উন্নয়নে কাজ করতে রাজনীতির মাঠে সৎ, নিষ্ঠাবান, কর্মদ এবং অসাম্প্রদায়িক মানসিকতা সম্পন্ন এই ব্যক্তিত্ব। একাদশ জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে, গত প্রায় দেড় বছর যাবত কিশোরগঞ্জ-২ (নির্বাচনী এলাকা কটিয়াদি-পাকুন্দিয়ায়) মত বিনিময় সভা, সমাবেশের মাধ্যমে গণসংযোগ করে যাচ্ছেন সাবেক সফল এই কর্মকর্তা। স্থানীয় আওয়ামী-লীগ নেতাকর্মীসহ বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার মানুষজন তাকে নিয়ে প্রায় ৫৫০ টির মত সভা করেছেন কটিয়াদী-পাকুন্দিয়ার বিভিন্ন পয়েন্টে। কটিয়াদী-পাকুন্দিয়ার সকল শ্রেণি-পেশার মানুষের একটাই দাবী একাদশ সংসদ নির্বাচনে সফল এই মানুষটিকে আওয়ামীলীগের এম পি হিসেবে দেখতে চায়। নূর মোহাম্মদ সরকারী দায়িত্ব পালন এবং বিভিন্ন সভা সেমিনারে অংশ গ্রহণ করতে পৃথিবীর প্রায় অধিকাংশ দেশই ভ্রমন করেছেন। অবসর সময়ে বই পড়া, বাগান করা এবং আড্ডা দিতে ভালবাসেন সবসময় হাসিখুশি থাকা এই গুণী। তার এই গুনাবলীর কারনে অনেক বিএনপির নেতারা ও আজ নুর মোহাম্মদের পক্ষ নিয়ে দিনরাত নৌকার পক্ষে কাজ করে যাচ্ছেন। কটিয়াদী উপজেলার ৫ নং মুমুরদিয়া ইউপির সাবেক চেয়ারম্যানও কটিয়াদী উপজেলা সাবেক বিএনপির সহ সভাপতি মোঃ ছেনু মিয়া বলেন, আমি সাবেক পুলিশ প্রধান নুর মোহাম্মদ এর আর্দশ ও নীতির প্রতি অনুপ্রানিত হয়ে মুমুরদিয়া ইউনিয়ন সহ কটিয়াদী ও পাকুন্দিয়া উপজেলার বিভিনন গ্রামে আমার লোকজন নিয়ে প্রচারনা চালিয়ে যাচ্ছি। আমি আমার নেতাকর্মীদের নিয়ে যে ভাবে কাজ করে যাচ্ছি আশা করি একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নুর মোহাম্মদের বিজয় নিশ্চিত হবে।

editor

Lorem Ipsum is simply dummy text of the printing and typesetting industry. Lorem Ipsum has been the industry's standard dummy text ever since the 1500s, when an unknown printer took a galley of type and scrambled it to make a type specimen book. It has survived not only five centuries