শালিসানদের শালিস অমান্য:
বাজিতপুরে মুক্তিযোদ্ধার ছেলেকে অতর্কিতভাবে হামলা চালিয়েছে প্রতিপক্ষের লোকজন, ঔষধের দোকান ভাংচুর ও লুটপাট, ৩ দিনেও মামলা নেয়নি পুলিশ আহত ৪।
বাজিতপুর (কিশোরগঞ্জ) সংবাদদাতা ঃ কিশোরগঞ্জের বাজিতপুর উপজেলার পিরিজপুর ইউনিয়নের পিরিজপুর বাজারে গত বৃহস্পতিবার রাত ৮টার দিকে মৃত মৃক্তিযোদ্ধা রইস উদ্দিন মাস্টারের ছেলে সুমন মিয়ার ঔষধের দোকানে একই এলাকার খসরু মিয়া, সুজন মিয়া, শাহীন মিয়া সহ ৭-৮ জন অতর্কিতভাবে হামলা চালিয়ে দোকান ভাংচুর ও লুটপাট করেছে। এতে ক্ষতির পরিমান নগদ টাকা সহ লক্ষাধিক টাকা। এছাড়া খসরু মিয়ার লোকজনের হামলার প্রতিবাদ করতে গিয়ে ৪ জন গুরুতর আহত হয়। গুরুতর আহতরা হলেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা রইস উদ্দিনের ছেলে সুমন মিয়া (৩৩), রাজু মিয়া (২৫), উজ্জল মিয়া (৩৫), তাজুল ইসলাম (২০)। এই হামলার ঘটনার ৩ দিন পার হয়ে গেলেও পুলিশ রহস্যজনক কারনে মামলা নিচ্ছে না বলে অভিযোগ উঠেছে। জানাযায়, গত ৬ জানুয়ারী পিরিজপুর মুন্সিকান্দা সাকিনের গোলাপ মিয়ার বাড়ি হতে কাজ ফেরার পথে রাজমিস্ত্রী উজ্জল মিয়াকে খসরু মিয়া ও তার লোকজন ঐ বাজারে ডিশের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের ভিতরে নিয়ে লোহার রড ও কারেন্টের তার দিয়ে সমস্ত শরীরে পিটিয়ে আহত করেছে উজ্জল মিয়াকে। এই ঘটনায় গত বৃহস্পতিবার সন্ধা ৭ টার দিকে পিরিজপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান জুবায়ের ইব্রাহিমের অফিসে শালীস হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু চেয়ারম্যান ইব্রাহিমের শরীর অসুস্থতার কারনে আগামী মঙ্গলবার শালীসে বসার তারিখ নির্ধারিত হয়। এই তারিখ পরিবর্তন থেকে বের হয়ে আসার সময় ৬ নং ওয়ার্ড মেম্বার হাবিবুর রহমান, সাবেক মেম্বার বকুল মিয়া সহ আরোও কয়েকজন শালীসানদের সামনে খসরু মিয়া, সাকিব মিয়া, রুবেল মিয়ার লোকজন এই ৪ জনকে অতর্কিতভাবে হামলা চালিয়েছে বলে শালীসানরা দাবী করেন। এই ব্যাপারে উজ্জল মিয়া বাদী হয়ে গত শুক্রবার সকালে বাজিতপুর থানায় খসরু মিয়া, সুজন মিয়া, সাবিক মিয়া, সাহিন মিয়া, রুবেল মিয়া, সাব্বির মিয়া, সোহাগ মিয়া সহ অজ্ঞাত ৫-৬ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করলেও গত ৩ দিনেও পুলিশ মামলা নিচ্ছেনা বলে অভিযোগের বাদী সুত্রে জানাগেছে। বাজিতপুর থানার তদন্ত ওসি শফিকুর রহমান জানান, অভিযোগটি তদন্ত হয়েছে।