যার হাত ধরে এগিয়ে যাচ্ছে তাড়াইলের প্রাথমিক শিা

শিা এমন একটি অদৃশ্য শক্তি যা কেউ চাইলেও কেড়ে নিতে পারে না। আর এই অদৃশ্য শক্তির প্রাথমিক পর্ব হলো প্রাথমিক শিা। এই শক্তি কীভাবে প্রয়োগ করলে তা মানুষের জীবনকে বদলে দিতে পারে তা নিয়ে ভাববার মানুষ খুব-ই কম। তবে, কেউনা কেউতো ভাবেই। আমাদের দেশে মাঠ পর্যায়ে ভাববার দায়িত্বে থাকেন একজন উপজেলা শিা কর্মকর্তা ও তার সহযোদ্ধা একাধিক সহকারী শিা কর্মকর্তাবৃন্দ। শিা কর্মকর্তার যোগ্য নেতৃত্বের বদৌলতে প্রাথমিক শিার ইতিবাচক পরিবর্তন সাধিত হয়। অনেক শিা কর্মকর্তা আছেন যারা মানসম্মত প্রাথমিক শিাকে এগিয়ে নিতে রুটিন কাজের পাশাপাশি বিভিন্নমুখী উদ্যোগী কর্মসূচি গ্রহণ করে থাকেন। যে উদ্যোগগুলো মানসম্মত প্রাথমিক শিা নিশ্চিতে কার্যকরী ভূমিকা পালন করে। তেমনি একজন উদ্যোগী উপজেলা শিা কর্মকর্তা হলেন ফাতেমা সুলতানা। যিনি বর্তমানে তাড়াইল উপজেলায় কর্মরত। প্রায় দেড় বছর ধরে তিনি উপজেলার প্রাথমিক শিা ব্যবস্থার উন্নয়নে নিরলসভাবে কাজ করছেন। ‘এগিয়ে যাচ্ছে প্রাথমিক শিা, এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ- এই শ্লোগানকে ধারণ করে তাড়াইলে প্রাথমিক শিার মান উন্নয়নে বিভিন্ন প্রাথমিক বিদ্যালয় আকস্মিক পরিদর্শন করেছেন উপজেলা শিা অফিসার ফাতেমা সুলতানা। উপজেলার ৭টি ইউনিয়নের ৭০টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মধ্যে পর্যাক্রমে রুটিন কাজের পাশাপাশি মানসম্মত প্রাথমিক শিা নিশ্চিত করতে বিভিন্ন বিদ্যালয় আকস্মিক পরিদর্শন করে চলছেন তিনি। এ সময় তিনি বিদ্যালয়ের শ্রেণি কার্যক্রম, কাস রুটিন, মাল্টিমিডিয়া কাসরুম পরিদর্শন করেন এবং শিার্থীদের সাথে কথা বলেন পরে তিনি নিজে-ই ভিন্ন-ভিন্ন কাসরুমে প্রবেশ করে শিার্থীদের কাস নেন। প্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক, শ্রেণি শিক ও সহকারী শিকদের সাথে প্রাথমিক শিার মান উন্নয়নে মতবিনিময় করেন। ফাতেমা সুলতানা বলেন, শিা কার্যক্রম সুষ্ঠু ও সুন্দর ভাবে পরিচালনার জন্য নিয়মিত বিদ্যালয়গুলো পরিদর্শন ও মনিটরিং কার্যক্রম করা হয়। এরই অংশ হিসেবে বছরের শুরুতে বিদ্যালয়গুলোতে সময়মত শিকদের উপস্থিতি নিশ্চিতকরণ, ঝড়ে পড়ার হার হ্রাস, শিার্থীদের সংখ্যাবৃদ্ধি, সমাপনী পরীায় পাশের হার বৃদ্ধি, শতভাগ পাশকৃত বিদ্যালয়ের সংখ্যাবৃদ্ধি, মাল্টিমিডিয়া কাসরুম, শিক ডায়েরি, কৃতিভিত্তিক ব্যবস্থাপনাসহ সকল শিা কার্যক্রম নিশ্চিতের ল্েয আমরা উপজেলার এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্ত পর্যন্ত ছুটছি। উপজেলার প্রাথমিক বিদ্যালগুলোতে মাল্টিমিডিয়ার মাধ্যমে প্রজেক্টরে কাস নেওয়ার জন্য জেলা শিা অফিস হতে শিকদের কনটেন্ট সরবরাহ করা হয়েছে। তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন, জানুয়ারি-২০১৯ থেকেই উপজেলার প্রাথমিক বিদ্যালগুলোতে প্রায় শতভাগ মাল্টিমিডিয়া কাসরুম বাস্তবায়ন হবে।

editor

Lorem Ipsum is simply dummy text of the printing and typesetting industry. Lorem Ipsum has been the industry's standard dummy text ever since the 1500s, when an unknown printer took a galley of type and scrambled it to make a type specimen book. It has survived not only five centuries