হুমায়ুন ফরীদির মৃত্যুবার্ষিকী আজ

বাংলা চলচ্চিত্রের কিংবদন্তি অভিনেতা হুমায়ূন ফরীদির নবম মৃত্যুবার্ষিকী আজ শনিবার পালিত হচ্ছে। তার মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে বেশ কয়েকটি টিভি চ্যানেল তার জীবন, টিভি নাটক, চলচ্চিত্র ও নাট্যাঙ্গনে তার পদচারণা নিয়ে বিভিন্ন অনুষ্ঠান প্রচার করছে।

একুশে পদক বিজয়ী এই শিল্পী ৫৯ বছর বয়সে ২০১২ সালের ১৩ ফেব্রুযারি না ফেরার দেশে পাড়ি জমান।

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত নাট্য উৎসবে তিনি অন্যতম সংগঠক ছিলেন। মূলত এ উৎসবের মাধ্যমে তিনি নাট্যাঙ্গনে পরিচিত মুখ হয়ে উঠেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রাবস্থাতেই তিনি ঢাকা থিয়েটারের সদস্যপদ লাভ করেন। নব্বইয়ের দশকে হুমায়ুন ফরীদি চলচ্চিত্র জগতে প্রবেশ করেন।

আলোচিত ‘সংশপ্তক’ নাটকে ‘কানকাটা রমজান’ চরিত্রে অভিনয়ের জন্য বিখ্যাত হয়েছিলেন ফরীদি। কীর্ত্তনখোলা, মুন্তাসির ফ্যান্টাসি, কিরামত মঙ্গল (১৯৯০), ধূর্ত উই ইত্যাদি তার উল্লেখযোগ্য মঞ্চায়ন। মঞ্চের পাশাপাশি টিভি অভিনয়েও হুমায়ুন ফরীদি ছিলেন ব্যাপক জনপ্রিয়।

তার অভিনীত জনপ্রিয় নাটকগুলো হলো- নিখোঁজ সংবাদ, হঠাৎ একদিন, পাথর সময়, সংশপ্তক, সমুদ্রে গাংচিল, কাছের মানুষ, মোহনা, নীল নকশাল সন্ধানে (১৯৮২), দূরবীন দিয়ে দেখুন (১৯৮২), ভাঙ্গনের শব্দ শুনি (১৯৮৩), কোথাও কেউ নেই, সাত আসমানের সিঁড়ি, সেতু কাহিনী (১৯৯০), ভবের হাট (২০০৭), শৃঙ্খল (২০১০), জহুরা, আবহাওয়ার পূর্বাভাস, প্রতিধ্বনি, গুপ্তধন, সেই চোখ, অক্টোপাস, বকুলপুর কত দূর, মানিক চোর, আমাদের নুরুল হুদা ইত্যাদি।

‘হুলিয়া’, ‘জয়যাত্রা’, ‘শ্যামলছায়া’, ‘একাত্তরের যিশু’, ‘আনন্দ অশ্রু’সহ অনেক সিনেমাতে অভিনয় করেন তিনি।

১৯৮৪ সালে তিনি জনপ্রিয় বাংলাদেশি অভিনেত্রী এবং বর্তমান সংসদ সদস্য সুবর্ণা মুস্তফার সাথে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। ২০০৮ সালে তাদের মধ্যে বিবাহ-বিচ্ছেদ ঘটে।

২০০৪ সালে মাতৃত্ব চলচ্চিত্রে অভিনয়ের জন্য তিনি শ্রেষ্ঠ অভিনেতা বিভাগে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার অর্জন করেন। ২০১৮ সালে বাংলাদেশ সরকার তাকে মরণোত্তর একুশে পদকে ভূষিত করে।

Source:Daily Prothom Alo

editor

Lorem Ipsum is simply dummy text of the printing and typesetting industry. Lorem Ipsum has been the industry's standard dummy text ever since the 1500s, when an unknown printer took a galley of type and scrambled it to make a type specimen book. It has survived not only five centuries