চুয়াডাঙ্গায় করোনায় মোট মৃত্যু ২০০ ছুঁয়েছে
চুয়াডাঙ্গায় গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় আক্রান্ত হয়ে নতুন করে একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে জেলায় করোনায় মোট মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়াল ২০০। এর মধ্যে শেষ ৪৩ দিনেই ১০০ জন মারা গেছেন। এদিকে গত এক দিনে জেলায় নতুন করে ৩২ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। জেলার সিভিল সার্জন এ এস এম মারুফ হাসান স্বাক্ষরিত প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।
সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, জেলায় গত ২৪ ঘণ্টায় ১৯৪ জনের নমুনা পরীক্ষা হয়েছে। নমুনা পরীক্ষার তুলনায় শনাক্ত ১৬ দশমিক ৪৯ শতাংশ। এর মধ্যে সদর উপজেলায় সর্বোচ্চ ১৭ জন, আলমডাঙ্গায় ৮ জন, দামুড়হুদায় ৪ জন ও জীবননগরে ৩ জন শনাক্ত হয়েছেন। বর্তমানে জেলার বিভিন্ন হাসপাতালে ৬৮ জন করোনায় আক্রান্ত রোগী চিকিৎসাধীন। এ ছাড়া হোম আইসোলেশনে আছেন ১ হাজার ১৬৪ জন।
জেলায় গত বছরের ১৬ মার্চ আলমডাঙ্গায় ইতালিফেরত এক যুবকের নমুনা পরীক্ষায় প্রথম করোনা শনাক্ত হয়। এরপর একই বছরের ৩০ এপ্রিল জেলায় প্রথম কোনো করোনা রোগীর মৃত্যু হয়। এ পর্যন্ত জেলায় ২৪ হাজার ৬৯৯ জনের নমুনা পরীক্ষায় ৬ হাজার ৪৬১ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এর মধ্যে ৫ হাজার ২৯ জন সুস্থ হয়েছেন। সুস্থতার হার ৭৭ দশমিক ৮৪। শুরু থেকে মোট আক্রান্ত ৮৭ স্বাস্থ্যকর্মীর মধ্যে ৭১ জন সুস্থ হয়েছেন।
চলতি বছরের ২৯ জুন জেলায় করোনাভাইরাসে মৃত্যুর সংখ্যা হয় ১০০। এরপর গতকাল বৃহস্পতিবার ২০০ জনের মৃত্যুর রেকর্ড হয়। প্রথম ১০০ জনের মৃত্যু ৪২৬ দিনে হলেও শেষ ১০০ জন মারা গেছেন মাত্র ৪৩ দিনে।
যদিও জেলার সংক্রমণের হার কমতে শুরু করেছে। গত এক সপ্তাহে জেলার গড় শনাক্তের হার ১৫ দশমিক ৯৫। অথচ ২২ জুন জেলায় শনাক্তের হার ছিল ৯২ দশমিক ৭৫।
কোভিড-১৯ নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধসংক্রান্ত জেলা কমিটির সভাপতি জেলা প্রশাসক মো. নজরুল ইসলাম সরকার জানান, সম্মিলিত প্রচেষ্টায় করোনায় আক্রান্তের হার অনেক কমিয়ে আনা সম্ভব হয়েছে। তবে যাঁরা করোনায় আক্রান্ত হচ্ছেন, তাঁদের বেশির ভাগই বাড়িতে বসে চিকিৎসা নিচ্ছেন। সংকটাপন্ন অবস্থায় তাঁরা হাসপাতালে আসছেন। তত দিনে ফুসফুসের অনেকাংশ সংক্রমিত হয়ে যাচ্ছে। ফলে তাঁদের বাঁচানো যাচ্ছে না।
Source: Prothomalo