চেতনানাশক খাইয়ে অটোরিক্সা চুরি করে তারা
শফিক কবীর
কিশোরগঞ্জের তাড়াইল হতে যাত্রীবেশে উঠে চেতনানাশক খাইয়ে অটোরিক্সা চুরি করার সময় কেন্দুয়া থানা এলাকা হতে অটোসহ ৩ চোরকে আটক করা হয়েছে।
তাড়াইল উপজেলার ধলা ইউনিয়নের সারং বাড়ির অটোরিক্সা চালক মোকাররম (২৩) ২০ নভেম্বর সকালে অটোরিক্সাটি নিয়া ভাড়ার জন্য বাড়ি হতে বের হয়ে যায়। ঐ দিন বেলা অনুমান ১২টার সময় যাত্রীবেশে চোর চক্রের তিন সদস্য তাড়াইল বাজার থানা মোড় হতে নেত্রকোণা জেলার কেন্দুয়ার কথা বলে ৫০০/- টাকা ভাড়া নির্ধারণ করে রওনা করে। পথিমধ্যে আসামীরা পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী অটোরিক্সা চালক মোকাররমকে জুসের সাথে চেতনানাশক মিশিয়ে পান করায় । ভিকটিম বিষয়টি কেন্দুয়া থানার আদমপুর সাকিনস্থ জনৈক শরীফের চায়ের দোকানের সামনে পৌঁছানেরা পর বুঝতে পেরে ডাক চিৎকার শুরু করলে স্থানীয় লোকজন এসে (যাত্রী) আসামীদের আটক করে। পরে স্থানীয় লোকজন কেন্দুয়া থানা পুলিশকে সংবাদ দিলে কেন্দুয়া থানা পুলিশ এসে আসামীদের আটক করে ও অটোরিক্সা জব্দ করে থানায় নিয়ে যায়।
তিন চোর চক্রের মধ্যে দু’জন কিশোরগঞ্জ সদরের সুতুরকান্দা গ্রামের চান্দু মিয়ার পুত্র সোহাগ (২১) ও বলাকিপুর গ্রামের গোলাপ মিয়ার পুত্র রামিন (২০)। অপর জন ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার বিজয়পুর গ্রামের মৃত নিজামুল হকের পুত্র এনামুল হক (২১)।
অটোরিক্সা চালক মোকাররমের বড় ভাই নুরালম (২৩) খবর পেয়ে ভিকটিমকে তাড়াইল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে অচেতন অবস্থায় চিকিৎসার জন্য নিয়ে আসে। এবং বিষয়টি তাড়াইল থানা পুলিশকে অবহিত করলে তাড়াইল থানা পুলিশ কেন্দুয়া থানা হতে ভিকটিমের ব্যবহৃত অটোরিক্সা ও আটককৃত আসামীদের নিয়ে আসে। এ ঘটনায় ভিকটিমের বড় ভাই বাদী হয়ে তাড়াইল থানার একটি মামলা দায়ের করে।
তাড়াইল থানা পুলিশ আটককৃত আসামীদের বিজ্ঞ আদালতে প্রেরন করেছে। এবং অটোরিক্সা চালক মোকাররমকে চিকিৎসা শেষে বাড়িতে আনা হয়েছে।