কাউখালীতে যত্রতত্র বিক্রি হচ্ছে  সিলিন্ডার এলপিজি গ্যাস

মোঃ এনামুল কিবরিয়া
পিরোজপুরের কাউখালী উপজেলা শহর কিংবা গ্রামের প্রত্যন্ত অঞ্চলে বাড়ছে সিলিন্ডার ভর্তি লিকুইড পেট্রোলিয়াম গ্যাসের (এলপিজি) ব্যবহার। এ কারণে যত্রতত্র দোকানগুলোতে দেদারছে বিক্রি হচ্ছে সিলিন্ডার ভর্তি এলপিজি গ্যাস। প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা ব্যবস্থা না করেই উন্মুক্ত অরক্ষিত ভাবে রেখে প্রসাশনের চোখ ফাকি দিয়ে কোন অনুমতি বা লাইসেন্স ছাড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন। অভিযোগ রয়েছে নি¤œ মানের সিলিন্ডার গ্যাস বিক্রি যাহা ঘটতে পারে যে কোন মুহুর্তে মারাত্মক দুর্ঘটনা সহ হতাহত। সরেজমিন ঘুরে দেখাগেছে এলাকার মুদি দোকান, জুতার দোকান, খাদ্যের দোকান, ফ্লেক্সি লোডের দোকান, প্যাট্রল ডিজেল বিক্রির দোকানসহ রাস্তার সাইডে খেলা জায়গায় উন্মক্ত ভাবে বিক্রি করা হচ্ছে ঐ সব গ্যাস সিলিন্ডার। বিষ্ফোরক অধিদপ্তর গ্যাস সিলিন্ডার বিক্রির জন্য কয়েকটি প্রতিষ্ঠানকে বিক্রয় ও বিপনন লাইসেন্স প্রদান করলেও সাব-ডিলারের নামে যত্রতত্র সিলিন্ডার বিক্রি করছে। যে খানে নেই ফায়ার সার্ভিসের কোন অনুমতি পত্র কিংবা অগ্নি নিরাপক যন্ত্র।
বিষ্ফোরক আইন ১৮৮৪ এর অধিনে গ্যাস সিলিন্ডার বিধি মালা ২০০৪ এর ৬৯ ধারা অনুযায়ী লাইসেন্স ছাড়া অনধিক ১০ টি গ্যাস পন্যের সিলিন্ডার মজুদ করা জাবে না।  তবে বিধি ৭০ ধারা অনুযায়ী এসব সিলিন্ডার মজুদ করার ক্ষেত্রে যথেষ্ঠ পরিমান অগ্নি নিবারক যন্ত্রপাতি এবং নিয়ন্ত্রক সরঞ্জাম মজুদ রাখতে হবে। নিরাপত্তা বিবেচনায় বলা আছে জনপদ থেকে কম পক্ষে ১০০ মিটার দুরে সিলিন্ডার বিক্রয় কেন্দ্র করতে হবে। এমনকি সিলিন্ডার গ্যাস স্থাপনা প্রাঙ্গনে দিয়াশলাই বা আগুন লাগতে পারে এমন কোন বস্তু বা সরঞ্জম রাখা যাবে না। মজুদ করা স্থানের কাছাকাছি আলো বা তাপের উৎস থাকা যাবে না। কাউখালী স্টেশন অফিসার সুত্র জানান আমরা অগ্নি নিবারনের কাজ করে থাকি বিষয়টি লাইসেন্স শাখা অথবা উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ ভালো বলতে পারবেন।

দৈনিক আমার বাংলাদেশ

দৈনিক আমার বাংলাদেশ