১১ বছরের শিশুর সঙ্গে কিশোরগঞ্জ রেলওয়ে পুলিশের হাফপ্যান্ট কান্ড

নিজস্ব প্রতিবেদক : কিশোরগঞ্জ রেলওয়ে থানা পুলিশের হাফপ্যান্ট কান্ডে তোলপাড় স্টেশন এলাকা, পরিবারের অভিযোগ।

জানা যায়, ৮ সেপ্টেম্বর রবিবার বিকেলে কিশোরগঞ্জ রেলওয়ে স্টেশন এলাকায় জনসম্মুখে ১১ বছরের একটি মেয়েকে হাফপ্যান্ট খুলে নির্যাতন করেন রেলওয়ে থানার কনস্টেবল (মুন্সি) শাহাদাৎ হোসেন।
এনিয়ে এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হলে, থানা প্রাঙ্গণে জড়ো হয় স্থানীয় এলাকাবাসী।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক প্রত্যক্ষদর্শী জানান, বিগত দিনে কি হয়েছে তা জানিনা, কিন্তু এতো এতো লোকের সামনে মেয়েটাকে পুলিশ যে অমানবিক ও নির্যাতনটা করেছে তা খুবই দু:খজনক। মেয়েটির এমন অবস্থা দেখে পাশের এক দোকানদার একটা গামছা পড়িয়ে দেয়, আরকজন একটা শার্ট নিয়ে আসে পড়ানোর জন্য। আমরা মেয়েটিকে ছেড়ে দিতে অনুরোধ করলেও তিনি আমাদের কোন কথা না শুনে থানায় নিয়ে আটকে রাখে, উনি থানার পুলিশ হওয়ায় আমরা কোন প্রতিবাদ করতে পারিনি।

এ বিষয়ে, ভিকটিম এর খালা কুলসুম বেগম সাংবাদিকদের কাছে অভিযোগ করে বলেন, আমার বাড়ির পাশে ভাড়া থাকেন এই পুলিশ। তার মেয়ের ব্যবহৃত কাপড়-ছোপর বাসার চাদে শুকাতে দিলে একটি হাফপ্যান্ট বাতাসে নিচে পড়ে থাকলে কোন এক বাচ্চা পেয়ে আমর ভাগ্নীকে দেয়, এবং সে এই প্যান্টা ব্যাবহার করে, আজকে পুলিশের বউ মেয়ের পড়নে প্যান্ট দেখতে পেয়ে, পুকুর ঘাট থেকে দৌড়ানি দেয়, একপর্যায়ে পুলিশ এসে মেয়েকে টেনেহিঁচড়ে রেল স্টেশনে নিয়ে যায় এবং জনসম্মুখে হাফপ্যান্ট খুলে শরীরের বিভিন্ন জায়গায় শারীরিক নির্যাতন করে থানায় নিয়ে যায়, আপনারা সিসি ফুটেজ ও উপস্থিত লোকদের কাছে জেনে এর বিচারের ব্যাবস্থা করে দিবেন, আমরা এর বিচার চাই।

এ ব্যাপারে অভিযোক্ত পুলিশ কনস্টেবল শাহাদাত হোসেন বলেন, আমি মিথ্যে বলবো না, আমার মেয়েটা অসুস্থ্য এদিকে এই ঘটনা, তাই রাগের মাথায় আমি একটা থাপ্পড় দিয়েছি। আমার বিরুদ্ধে আনীত সকল অভিযোগ মিথ্যে।

এ ব্যাপারে রেলওয়ে থানার দ্বায়িত্ব থাকা এসআই হারুন-অর রশিদ এর নিকট জানতে চাইলে তিনি জানান, আমি ঘটনাটি শুনেছি, মেয়েটিকে তার বাবা-মার কাছে পাঠাতে এলাকাবাসীর সহযোগিতায় চেষ্টায় আছি, এবং দোষগুণ বিবেচনা করে এর ব্যাবস্থা নেওয়া হবে।

দৈনিক আমার বাংলাদেশ

দৈনিক আমার বাংলাদেশ