পাকুন্দিয়ার আদর্শ বিদ্যাপীঠ ‘শৈলজানী আলিম মাদরাসা’

মানুষ গড়ার আঙিনায় সু-শিার বিকল্প নাই। শিার আলোয় আলোকিত দেশ, জাতি তথা বিশ্ব মানবতার মুক্তির মশাল নিয়ে সবুজ শ্যামল ছায়ায় ঘেরা প্রকৃতির মনোরম পরিবেশে সাতাইরিয়া বিলের তীরে গড়ে উঠা যে শিা প্রতিষ্ঠানটি আদর্শ মানুষ গড়ার লে যুগ যুগ ধরে অনবরত আলো ছড়িয়ে আসছে, সেটি হল ‘শৈলজানী আলিম মাদরাসা’।

শিাবান্ধব পরিবেশে জ্ঞান অর্জনের সামগ্রিক আয়োজনে সমৃদ্ধ এ মাদরাসাটিতে শিার্থীরা সত্যিকার অর্থেই এক একজন ভালো মানুষ হওয়ার শিা-দীা লাভ করে। মাদরাসাটি পাকুন্দিয়া উপজেলার ৯নং চন্ডিপাশা ইউনিয়নের শৈলজানী গ্রামের মধ্যে দিয়ে বহমান সাতাইরিয়া বিলের দণি-পশ্চিম পাশে প্রতিষ্ঠিত একটি অতুলনীয় বিদ্যাপীঠ।
শিার আদর্শে অনুপ্রাণিত ও উদ্দীপ্ত হয়ে ১৯৮১ সালে মৌলভী ক্বারী আব্দুল করিমের পরিচালনায় পর্যাপ্ত জমির উপর প্রতিষ্ঠা লাভ করে এ বিদ্যাপীঠ। উপজেলার একটি অন্যতম মাদরাসা হিসাবে সুপ্রতিষ্ঠিত এই মাদরাসাটি তার সূচনালগ্ন থেকেই সৎ, আদর্শ ও নিষ্ঠাবান মানুষ গড়ার ব্রত নিয়ে প্রতিটি কার্যক্রম চালিয়ে আসছে।

মাদরাসাটির অধ্য মাওলানা মো. আসাদুল হক এর অকান্ত পরিশ্রম ও বুদ্ধিদীপ্ত নেতৃত্বের গুণে ১৯জন অভিজ্ঞ শিক-শিকিার সমন্বয়ে প্রতিবছর মাদরাসাটি এই অঞ্চলের শ্রেষ্ঠ মাদরাসা হিসেবে স্বীকৃতি পেয়ে আসছে। পুরাতন শিানীতি অনুযায়ী ৩জন এবং বর্তমান শিানীতি অনুযায়ী ৭জন শিকের ঘাটতি থাকা সত্ত্বেও মাদরাসাটি শিা কার্যক্রম পরিচালনার েেত্র মুন্সিয়ানা দেখিয়ে আসছে।

১ম শ্রেণি থেকে আলিম শ্রেণি পর্যন্ত মাদরাসাটিতে বর্তমান ছাত্র-ছাত্রীর সংখ্যা ৬৫০জন। তিনটি ভবনের ১২টি শ্রেণিক, ১টি কম্পিউটার ল্যাব ও ১টি অফিস কে পরিচালিত হচ্ছে এর শিা কার্যক্রম। মাদরাসার সামনেই রয়েছে সু-বিশাল খেলার মাঠ।
তবে উত্তর পাশের ভবনটিতে ফাটল ধরায় এবং দণি পাশের ভবনটি পুনঃনির্মাণে আর্থিকভাবে অসচ্ছলতার কারণে অতিরিক্ত শ্রেণি ক না থাকায় ছাত্র-ছাত্রীদের পাঠদানের সমস্যা হচ্ছে। সেই সাথে বিজ্ঞানাগার না থাকায় বিজ্ঞানের সরঞ্জামাদি রাখার ও কম্পিউটার ল্যাবের সমস্যাও হচ্ছে। বেঞ্চ, বৈদ্যুতিক ফ্যানের ঘাটতি রয়েছে। উর্ধতন কর্মকর্তাদের কাছে দ্রুত এ ঘাটতিগুলো পূরণ করার দাবি জানিয়েছে মাদরাসার শিক ও শিার্থীরা।
মাদরাসাটি সবুজ-শ্যামল পরিবেশে প্রতিষ্ঠিত হওয়ায় ছোট ছোট ছেলে-মেয়েরা এখানেই পড়াশোনা করে। এছাড়া অন্যান্য জায়গার তুলনায় কম বেতন নেওয়া হয় দরিদ্র ও মেধাবী ছেলে-মেয়েদের কাছ থেকে। এখানে পড়াশোনা করার সুযোগ পায় গ্রামের সর্বস্তরের মানুষ। এছাড়া খেলাধুলা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানসহ শিা কারিকুলাম অনুযায়ী সর্বোচ্চ সুযোগ-সুবিধা দেওয়া হয় এ মাদরাসাটিতে। আর্থিক সহযোগিতার মধ্যে যারা মেধা তালিকায় ১ম, ২য় ও ৩য় স্থান অর্জন করে তাদেরকে কর্তৃপরে প থেকে পুরস্কৃত করা হয়।
পাকুন্দিয়া উপজেলার অন্যতম এই মাদরাসাটির বিগত সালের ইবতেদায়ি ও জেডিসি এবং চলতি বছরের দাখিল ও আলিম পরীায় কাঙ্তি ফলাফল অর্জন এবং খেলাধুলাসহ একাডেমিক পুরস্কার তো আছেই সাথে বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় অদ্বিতীয়ভাবে অংশগ্রহণ করে আসছে।
সংশ্লিষ্টদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, প্রতিষ্ঠানটির এমন অভাবনীয় সাফল্যের পেছনে একটি বড় কারণ হল, ১ম শ্রেণি থেকে ৫ম শ্রেণি পর্যন্ত নিজেদের হাতে গড়ে নিজস্ব শিার্থী নিম্ন মাধ্যমিকে প্রবেশ করানো। এছাড়া অধ্য মাওলানা মো. আসাদুল হকের নিরলস পরিশ্রম এবং তার তত্বাবধানে চৌকস ও আদর্শবান শিকদের সমন্বয়ে সমৃদ্ধ পরিবেশ এবং এলাকাবাসীর সার্বিক সহযোগিতায় শিকদের সাথে যোগাযোগ পরামর্শসহ আর্থিক সহযোগিতা মাদরাসাটির সাফল্যের অন্যতম কারণ। সেই সাথে কঠোর নিয়মকানুন তো আছেই। সবুজ-শ্যামল বিভিন্ন গাছপালায় আচ্ছাদিত পরিবেশে অবস্থিত মাদরাসাটির পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতাও দেখার মতো। মাদরাসা কমিটির সভাপতি বিশিষ্ট শিল্পপতি এম.এ. মান্নান মানিকের মাধ্যমে সার্বিক কাজগুলো হয়ে থাকে।
চারদিক ছায়া সুনিবিড় নির্জন গ্রাম্য পরিবেশে অবস্থিত প্রতিষ্ঠানটির অঙ্গণে কোলাহল ও শব্দ দূষণমুক্ত পরিবেশ শিার্থীদের মেধা ও মনন গঠনে ভূমিকা রাখছে।

মাদরাসাটির ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়ে অধ্য মাওলানা মো. আসাদুল হকের ভাষ্য, যদি ম্যানেজমেন্ট তথা মালিক প রাজি থাকেন তবে মাদরাসাটি আগামীতে ফাযিল বা কামিলে উন্নতি করা হবে। আর যদি তা না হয়, তবে বর্তমানে যে পরিমাণ শিার্থী আছে, তাদেরকে নিয়ে ১০০% পাস এবং বর্তমানের তুলনায় এ+ বৃদ্ধিসহ উপজেলার সেরা মাদরাসায় রূপান্তরিত করার আশা করছি। সৎ দ ও আদর্শ মানুষ তৈরির লে আমাদের পথ চলা প্রধানমন্ত্রী তথা শিাবিদ, মনিষী ও জ্ঞানতাপস মানুষের আকাঙ্া পূরণে ডিজিটাল সোনার বাংলা গড়তে সোনার মানুষের দিশারী হতে আমরা অঙ্গীকারাবদ্ধ।

editor

Lorem Ipsum is simply dummy text of the printing and typesetting industry. Lorem Ipsum has been the industry's standard dummy text ever since the 1500s, when an unknown printer took a galley of type and scrambled it to make a type specimen book. It has survived not only five centuries