ঘাটাইল সেনানিবাসে সশস্ত্র বাহিনী দিবস উদযাপন
বিশেষ প্রতিনিধি
ঘাটাইল সেনানিবাসে সশস্ত্র বাহিনী দিবস-২০১৮ এর অনুষ্ঠানে কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরীর সঙ্গে আমন্ত্রিত অতিথিদের একাংশ। টাঙ্গাইলের ঘাটাইল সেনানিবাসে ২১ নভেম্বর (বুধবার) যথাযোগ্য মর্যাদায় সশস্ত্র বাহিনী দিবস-২০১৮ উদযাপিত হয়েছে। এদিন বিকালে সেনানিবাসের প্যারেড গ্রাউন্ডে মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সদস্যদের সংবর্ধনা এবং সম্মাননা প্রদানসহ দিবসের অনুষ্ঠানমালায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী।অনুষ্ঠানে বিভিন্ন এলাকার এমপি, সংরতি মহিলা আসনের এমপি, বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, মুক্তিযোদ্ধা, শহীদ মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সদস্য, রাজনীতিবিদ, উপজেলা চেয়ারম্যান, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, সাংবাদিক ও বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তাসহ বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে যোগ দেন।কিশোরগঞ্জ থেকে জেলা গণতন্ত্রী পার্টির সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা অ্যাডভোকেট ভূপেন্দ্র ভৌমিক দোলন, জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার মো. আসাদ উল্লাহ, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপাতি অ্যাডভোকেট আতাউর রহমান, জেলা মহিলা পরিষদ সভাপতি অ্যাডভোকেট মায়া ভৌমিক, জেলা প্রেস কাব সভাপতি মোস্তফা কামাল, জেলা কৃষক লীগের সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন বাচ্চু, জেলা যুব মহিলা লীগের সভাপতি সালমা হক প্রমুখ আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে যোগ দিয়েছিলেন। প্রধান অতিথি কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী কেক কেটে অনুষ্ঠানমালার শুভ সূচনা করেন। এরপর তিনি সংপ্তি বক্তব্যে বলেন, জাতিরজনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আহবানে দেশের সশস্ত্র বাহিনী মহান মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল। তারা একাত্তরের ২১ নভেম্বর সম্মিলিতভাবে হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে সশস্ত্র প্রতিরোধ গড়ে তোলে। আর সেই কারণেই দিবসটিকে বঙ্গবন্ধু ‘সশস্ত্র বাহিনী দিবস’ হিসেবে ঘোষণা করেছিলেন। তিনি মহান মুক্তিযুদ্ধে সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যসহ বাঙালী জাতির মহান আত্মত্যাগের প্রতি শ্রদ্ধা জানান। বাংলাদেশের বিভিন্ন দুর্যোগের সময় সশস্ত্র বাহিনীর অবদানের কথাও শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করেন। সেই সঙ্গে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ে তোলার েেত্র সবাইকে আত্মনিয়োগের আহবান জানান। অনুষ্ঠানে ঘাটাইল এরিয়া কমান্ডার ও ১৯ পদাতিক ডিভিশনের জিওসি মেজর জেনারেল মিজানুর রহমান শামীম স্বাগত বক্তব্য রাখেন। অত্যন্ত সুশৃংখল এ অনুষ্ঠানে সেনাবাহিনীর বিভিন্ন পর্যায়ের পদস্থ কর্মকর্তা এবং তাদের পরিবারের সদস্যবর্গও উপস্থিত ছিলেন। শেষে মেজর জেনারেল মিজানুর রহমান শামীম মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সদস্যবর্গের জন্য নির্ধারিত প্যাভিলিয়নে গিয়ে মহান মুক্তিযুদ্ধে তাদের ভূমিকা ও আত্মত্যাগের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান এবং সম্মাননা স্মারক প্রদান করেন।